বিশ্বকাপের ২১ তম ম্যাচে বিশ্বকাপে দুই অপরাজিত দল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড খেলতে নেমেছিল। যেকোনো একপক্ষকে পরাজয় গ্রহণ করতে হতো। সেই পরাজয় এবারের মতো গ্রহণ করল নিউজিল্যান্ড।
২০০৭ সালের পর নিউজিল্যান্ড ঘোর কাটালো ভারত। টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বোলাররা শুরু থেকেই চেপে ধরে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেভন কনওয়েকে শূন্য রানে ফেরান সিরাজ। এরপর দলীয় ১৯ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার উইল ইয়াং।
এরপর নিউজিল্যান্ড দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান ড্যারি মিচেল ও রচীন রাবিন্দ্র। দুজনে মিলে যোগ করেন ১৫৯ রান। ৭৫ রান করে রচীন রবীন্দ্র ফিরে গেলে মিচেলকে সঙ্গ দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের আর কোন ব্যাটসম্যান। এক পাশ আগলে রেখেই ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ১৩০ রানের ইনিংসের ফলেই ২৭৩ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।
২৭৪ রানের লক্ষ তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দুই ওপেনার প্রথম পাওয়ার প্লেতে যোগ করেছিলেন ৭১ রান। তবে পাওয়ার প্লের কিছুক্ষণ পরেই দুই ওপেনারকে ফেরান লকি ফার্গুসন। শ্রেয়াস আইয়ার ও দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টায় ৩৩ রানেই ফিরেছেন।
বিরাটের সঙ্গে বড়জুটি করার চেষ্টা করেন লোকেশ রাহুল। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৮২ ও ব্যক্তিগত ২৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরের ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভলিয়নে যান সূর্য কুমার যাদাব। সেই মুহূর্তে কিছুটা চাপেই পড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। সে সময় ১৭.৫ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল আরো ৮৫ রান।
তবে শেষ পর্যন্ত দেখে শুনে ব্যাটিং করেন রবীন্দ্র জাদেজা ও বিরাট কোহলি। তাদের দুজনের ইনিংসের ফলে ১২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ভারত। তবে ইনিংসের শেষে আফসোস করতেই পারেন বিরাট কোহলি। ৯৫ রান করে ফিলিপসের কাছে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন বিরাট। বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ৪৯ তম সেঞ্চুরি করতে পারলে শচিন টেন্ডুলকারের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্ছ সেঞ্চুরি রেকর্ড করতেন তিনি।