বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের সঙ্গে অন্যতম ফেভারিট দল হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় জস বাটলাররা। তবে এরপরে একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে ইংল্যান্ড। একে একে চার ম্যাচ হেরে বসল তারা। পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বর স্থান এখন তাদের দখলে।
ভারতের বিরুদ্ধে ২৩০ রানের লক্ষ্য তারা করতে পারেনি ইংল্যান্ডের বিধ্বস্ত ব্যাটিং লাইন আপ। ৩৪.৫ ওভারে ১২৯ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারেই ১৭ রান তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। তবে এই ইনিংসে এটুকুই ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের গল্প ছিল। এরপর ভারতীয় বোলারদের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশ ব্যাটাররা।
ইংল্যান্ড দলকে প্রথম ধাক্কা দেন জাসপ্রিত বুমরা। ইংল্যান্ড ইনিংসের পরপর দুই বলে ডেভিড মালান এবং জো রুটকে তুলে নেন বুমরা। এরপর বুমরার সঙ্গে যোগ দেন মোহাম্মদ সামি। পাওয়ারপ্লের মধ্যে চার উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। পাওয়ারপ্লের পর উইকেটে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করে জস বাটলার ও মইন আলী। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারে না তারা। কুলদীপ যাদবের বলে জস বাটলার ফিরলে ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। সেই বিপদ থেকে ইংল্যান্ড দলকে রক্ষা করতে পারেনি আর কেউ। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৭ রানের ইনিংসটি ইংল্যান্ড দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। যার ফলে ১০০ রানের পরাজয় বরণ করেছে ইংল্যান্ড।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে আসে ভারতীয় দল। শুরুতেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। সে সময় ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। দুজনে ৯১ রানের দুটি গড়েন। তবে ৩৯ রান করে ফিরে যান রাহুল। তবে রোহিত শর্মাকে ভালো সঙ্গ দেন সূর্য কুমার যাদব। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৭ এবং দলীয় ১৬৪ রানের রোহিত শর্মা আউট হয়। যার ফলেই অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। সেই শঙ্কা সত্যি করতেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। সূর্য কুমার যাদাব ৪৭ বলে ৪৯ করে ফিরে যান। ২০৮ রানে নয় উইকেট হারায় ভারত। তবে নবম উইকেটের জুটিতে বুমরা এবং কুলদীপ যোগ করেন ২১ রান। যার ফলে ২২৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। এই জয়ে ছয় ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো ভারতীয় দল।