১ লক্ষ্য ৩০ হাজার দর্শকের সামনে মাথা নিচু করে মাঠ থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তেমন একটা উদযাপন করার সুযোগও দেননি সমর্থকদের। ভারতের ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মার ঝড়ো ব্যাটিং এবং ভারতীয় বোলিংয়ের প্রথম স্পেলে সামি ও বুমরার আক্রমণাত্মক বোলিং টুকুই ভারতীয় সমর্থকদের উদযাপনের একমাত্র উপলক্ষ্য ছিল। এর বাইরে পুরো ম্যাচে ভারতীয় দলকে ধুঁকতে হয়েছে।
কিন্তু পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তাকালে উল্টো চিত্রটাই লক্ষ্য করা যায়। যেখানে প্রতিপক্ষকে কোন সুযোগ দেয়নি ভারতীয় দল। ভারতীয় দল পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে যে ক্রিকেটটা খেলেছে তাতে মনে হয়েছে তাদের হারানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনালে উড়তে থাকা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসে প্যাট কামিংসের অস্ট্রেলিয়া। ৪২ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের উল্লাসে মাতায়। অন্যদিকে মাঠেই ভেঙে পড়েন রোহিত শর্মার দল। মোহাম্মদ সিরাজ মাঠে কান্নায় ভেসে পড়েন। অশ্রুজলে মাঠ থেকে দ্রুত সরে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারের পরে দ্রুতই মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে চলে যান। এরপরে সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি অধিনায়ক। তার পরিবর্তে এসেছিলেন ভারতীয় প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। সাধারণত বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালের পর অধিনায়ক নিজেই মোকাবেলা করেন গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে রোহিত শর্মা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি।
রাহুল দ্রাবিড় সংবাদ সম্মেলনে এসে গণমাধ্যমের কাছে ড্রেসিংরুমের বর্তমান পরিস্থিতির কথায় তুলে ধরেছেন। ড্রেসিংরুমের আবেগপ্রবণ পরিস্থিতির কথায় তিনি বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এসে রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন, “অধিনায়ক নিজে বেশ হতাশ। ড্রেসিংরুমের বর্তমান পরিস্থিতিও আবেগপ্রবণ। যা আমার জন্য দেখা বেশ কঠিন। কারণ ছেলেগুলো কি পরিশ্রম এবং কি ত্যাগ করেছে তা আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। সকলেই হতাশ।”
তিনি আরো যোগ করেছেন, “ক্রিকেট খেলাটাই এমন। যে কোনদিন যা কিছু ঘটতে পারে। সবকিছুর জন্যই আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে সেরা দলটাই জিতবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে কোন কিছু থেমে যাবে না। কাল সকালে আবার সূর্য উঠবে। আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।”