২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পর আইসিসি অনুমোদিত কোন ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি ভারতীয় দলের। বারবারই তাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নকআউট ম্যাচগুলো। আইসিসি ট্রফির প্রথম রাউন্ড অনায়াসে পেরিয়ে গেলেও ফাইনাল বা সেমিফাইনালে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি ভারতীয় দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে একই দশা দেখা গেছে ভারতীয়দের থেকে।
বিগত দুবছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুটি পরাজয় গ্রহণ করেছে ভারত। দুবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে রোহিত শর্মারা। বারবারই সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া যেন প্রতিনিয়ত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের। এই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই ফাইনাল বা সেমিফাইনালে তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজনে বেশিরভাগ ভোট প্রদান করেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়েরা।
বিরাট কোহলি তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আপনি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেললেও একটি ম্যাচ বা একটি বাজে দিন আপনাকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিতে পারে যা বেশ কষ্টদায়ক।” গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হারার পরও রোহিত শর্মা বিরাট কোহলির সঙ্গে একই সুরে তাল মিলিয়ে ছিলেন। তার মতেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল সিরিজের মত আয়োজন করলেই ব্যাপারটা আরো উত্তেজনা পূর্বক হবে।
এবার ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার মতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইলানকে সিরিজ হিসেবে আয়োজন করলে সেটা গোটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রাবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, “আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরেছিলাম। ফলাফলটা আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে এক ম্যাচের বদলে সিরিজ হলে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেতাম। একটা ম্যাচে অনেক কিছুরই প্রভাব পড়তে পারে আবহাওয়া বা অন্যরকম কিছু।”
তিনি আরো যোগ করেন, “আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হেরেছি দুইটি ভিন্ন জায়গায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের মাটিতে আমরা হেরেছি। ধরুন এখানে একটির জায়গায় তিনটি ম্যাচ থাকলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকতো। যেমনটা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। আমরা প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজটা ১-১ ব্যবধান ড্র করতে সক্ষম হয়েছি।”