২০১৫ সালে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিলাম থেকে হার্দিক পান্ডিয়াকে কিনে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বড় তারকা বনে গিয়েছিলেন তিনি। ১৪০ কিলোমিটার স্পিডে বল করার পাশাপাশি বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর জন্য বিখ্যাত হার্দিক পান্ডিয়া। তবে একটা সময় অধিনায়কত্বের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান ছাড়তে হয়েছিল তাকে। ২০২২ আইপিএল মৌসুমে বড় নিলামের আগে হার্দিককে ছেড়ে দিয়েছিল মুম্বাই।
বড় নিলামের আগেই হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে ভিড়িয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। দলটির অধিনায়কত্ব পেয়েই প্রথম মৌসুমেই গুজরাট টাইটান্সকে আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন করেছিল হার্দিক। দ্বিতীয় মৌসুমেও হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। তবে ফাইনালে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। তবে হঠাৎ করেই খবর উঠেছে গুজরাট ছেড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যোগ দেবেন হার্দিক।
গুজরাট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঝামেলার ফলেই গুজরাট ছাড়তে চলেছেন তিনি। যদিও এখনো অফিশিয়াল ভাবে নিউজটি প্রকাশিত হয়নি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম গুলোর মতে হার্দিক পান্ডিয়া ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে ডিলটা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গুজরাট থেকে মুম্বাইয়ে হার্দিক। ২৬ নভেম্বর বিকাল চারটার মধ্যেই ট্রেড উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগেই অফিসিয়াল নিউজ দিতে হবে। ১৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি গুজরাটকে ট্রান্সফার ফিও দিতে হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। যার পঞ্চাশ শতাংশ টাকা পাবেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ট্রান্সফার ফি কত হবে তা এখনো জানা যায়নি।
২০২৩ সালের নিলাম শেষে মুম্বাইয়ের কাছে বেঁচে ছিল মাত্র পাঁচ লাখ রুপি। এর সঙ্গে এবারের নিলামের জন্য যোগ করা হয়েছে পাঁচ কোটি রুপি। সেজন্য হার্দিক পান্ডিয়ার ১৫ কোটি রুপি পূর্ণ করতে বড় কোন খেলোয়াড়কে ছাড়তে হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। গণমাধ্যমগুলো আরোও প্রকাশ করছে জোফরা আর্চার ও ক্যামরন গ্রীনকে ছাড়তে পারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।