রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম হায়দ্রাবাদে শ্রীলংকার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ অনায়াসে পেরিয়ে যায় পাকিস্তান দল। ৬ উইকেট এবং ১০ বল বাকি থাকতেই এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে এই রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের দখলে। তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৭ রানের লক্ষ তাড়া করেছিল। আজ এই রেকর্ডটি ভেঙে নিজেদের দখলে করলো পাকিস্তান দল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শুনাকা টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানরা। কুশাল পেরেরা শূন্য রানে ফিরলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশঙ্কা।
৬১ বলে ৫১ রান করা নিশঙ্কাকে ফেরান সাদাব খান। এরপর কুশাল মেন্ডিসকে সঙ্গ দেন সামারাবিক্রামা। দুজনেই তুল নেন শতক। মেন্ডিস করেন ৭৭ বলে ১২২ ও সামারাবিক্রামা করেন ৮৯ বলে ১০৮ রান। যার ফলে ৪০ ওভার শেষে শ্রীলংকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটের ২৮৩ রান।
তবে শেষ ১০ ওভারে রানের গতি বাড়াতে পারেনি শ্রীলংকা। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে শ্রীলংকা দল। শেষ দশ ওভারে মাত্র ৬১ রান তুলতে পারে শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা সংগ্রহ দ্বারায় ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান। ৩৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ৩৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম। যার ফলে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ হয়ে দাঁড়ায় পাহাড় সমান।
তবে পাহাড় টোপকে শ্রীলংকার হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আসাদ শফিকের ১৭৬ রানের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আসাদ শফিক করেন ১০৩ বল থেকে ১১৩ রান। তবে অপরাজিত থেকে ১২১ বল থেকে ১৩১ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছেন রিজওয়ান। পাকিস্তান ইনিংসের শেষের দিকে সৈয়দ সাকিলের ৩০ এবং ইফতেখার আহমেদের ঝড় ২০ রানের ফলেই ম্যাচে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।