দুই মৌসুম আগে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দলে ভিড়িয়ে সৌদি ক্লাবের অগ্রযাত্রা শুরু করে। সেই মৌসুমে অবশ্য আর কোন বড় তারকাকে সই করাতে পারেনি সৌদির ক্লাবগুলো।
এক মৌসুম পরেই যেন উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করে প্রতিটি ক্লাবের। প্রথমদিকে শুধু ৩০ উর্ধ্ব বয়সী খেলোয়াড়দেরই দলে ভিড়িয়ে ছিল সৌদির ক্লাবগুলো। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সকল খেলোয়াড়দের প্রস্তাব দিতে শুরু করে সৌদির ক্লাবগুলো।
অনেক খেলোয়াড় প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে চলে আসেন সৌদির বিভিন্ন ক্লাবে। নেইমার জুনিয়র, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহারেজ, করিম বেনজেমা, অ্যাঙ্গোলো কন্তে আরো অসংখ্য নাম।
অনেকে অবশ্য সৌদির প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সৌদির ক্লাবগুলো চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে যে কোন মূল্যে সৌদিকে বিশ্বের এক নাম্বার ফুটবল ক্লাব টুর্নামেন্ট বানাতে।
কিন্তু সৌদির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ। বিশ্বের এক নাম্বার ক্লাব টুর্নামেন্ট বানাতে হলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগে অংশগ্রহণ করতে হবে তাদের।
তাই তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল উয়েফা কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এই প্রস্তাবকে সরাসরি না করে দিয়েছে উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফরিন। তিনি বলেছেন, সৌদি এখন যা শুরু করেছে তা কিছুদিন আগে চিনও করেছিল। কিন্তু তাদের ফুটবল কোনভাবেই এগোয়িনি। সৌদির সাথে ঠিক একই হবে।”
সেফরিনের মতে যারা ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে আছে শুধুমাত্র তারাই সৌদি প্রো লিগে খেলতে যাচ্ছে। হলান্ড এমবাপ্পেদের মত ফর্মের তুঙ্গে থাকা খেলোয়াড় সৌদি প্রো লিগে খেলতে যাবেন না।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ খেলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সভাপতি জবাব দেন,”শুধু ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোই চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগে খেলতে পারে।”