চ্যাম্পিয়ন লিগের ‘সি’ গ্ৰুপের ম্যাচে নাপোলির ঘরের মাঠে ২-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদ নিয়মিত যা করে থাকে এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রিয়াল মাদ্রিদের নিয়মিত চিত্র প্রথমে গোল হজম করবে এবং শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ ছিনিয়ে নেবে।
তবে ম্যাচটি বাকি দিনগুলোর মতো খুব সহজে জয় পায়নি ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ চালাতে থাকে নাপোলি। ম্যাচের ১৯ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কেপার ভুলে এগিয়ে যায় নাপোলি। নাপোলিকে হেডের মাধ্যমে এগিয়ে দেন লিও ওস্ত্রিগার্ড।
এরপরে রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণের ধার বাড়ায়। গোল হজমের ৮ মিনিট পরেই দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়াস। দ্বিতীয় গোলের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি মাদ্রিদকে। ৩৪ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে একক দক্ষতায় মাদ্রিদকে ১-২ গোলে লিড এনে দেয় বেলিংহাম। গোল করে আরো আক্রমণ চালাতে থাকে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে নাচোর হ্যান্ডবলের ফলে পেনাল্টি পায় নাপোলি। স্পট কিক থেকে কোন ভুল করেননি নিপিটর জেলেনেস্কি। ২-২ সমতায় ফিরে আক্রমণের ওপর আক্রমণ চালাতে থাকে নাপোলি।
তবে খেলাটা যখন চ্যাম্পিয়ন লিগের এবং দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ এত সহজেই তো ম্যাচটা ছাড়বেন না তারা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের একটি বুলেট গতির শটে পরাস্ত হয় নেপোলি গোলকিপার মিরিত। বলটি সরাসরি লাগে গোলপোস্ট। ফিরতি বল মিরিতের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। গোলটিকে আত্মঘাতী গোল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এরপরে নাপোলি আক্রমণ চালালেও ফলাফলে পরিবর্তন আনতে পারেনি। যার ফলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।
তবে ফেদেরিকো ভালভার্দের গোলটি আত্মঘাতী গোল দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন আনচেলত্তি। কারণ গোলটি চ্যাম্পিয়ন লিগের অন্যতম সেরা গোল হওয়ার দাবিদার ছিল। আনচেলত্তি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “শেষের গোলটা মিরিতের নামে দেওয়া হয়েছে, এটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।”