বসুন্ধরা কিংস আগেই তাদের পাঁচজন খেলোয়াড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কিছু ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করেছে। এএফসি কাপে উড়িষ্যা এফসির বিপক্ষে ছিলেন না তারা।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০ সেপ্টেম্বর এএফসি কাপে মালদ্বীপের মাজিয়া ক্লাবের বিপক্ষে মালেতে ৩-১ গোলে হারের পর। দেশে ফেরার সময় ওই অবৈধ মদ এনেছিলেন তারা। দুই ব্যাগ মিলে প্রায় ১০০ লিটারের ওপরে মদ এনেছিলেন তারা। এবার জাতীয় দল থেকেও বহিষ্কার হতে চলেছেন এই পাঁচজন ফুটবলার।
সেই পাঁচজন ফুটবলার হলেন, তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন ও রিমন হোসেন। এদের মধ্যে তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো , শেখ মোরসালিন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। বাকী দুইজনের খুব বেশি সুযোগ হয় না জাতীয় দলে।
১২ ও ১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাক্–বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে তাঁদের নেওয়া হবে কি’না এই ব্যাপারে বাফুফে একটি বৈঠক করে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, “৩–৪ দিন আগে বসুন্ধরা কিংস থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, শৃঙ্খলাজনিত কারণে তারা ৪-৫ জন খেলোয়াড়কে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। খেলোয়াড়েরা ক্লাবের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ক্লাব যখন শৃঙ্খলাজনিত কারণে ব্যবস্থা নেয়, বাফুফের দায়িত্ব হয়ে যায় বিষয়টা দেখা। আমরা সেটা দেখছি। তদন্ত করতে দিয়েছি।” তিনি আরো যোগ করেন, “যখন একটা ক্লাব শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা নেয়, বাফুফেকে একটা চিঠি দিয়ে ফেলে, তখন আমার মনে হয় না তারা জাতীয় দলের জন্য বিবেচনায় আসবে। কোচও তাদের বিবেচনায় আনবে না।”