লা লিগায় গ্রানাদার ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। ম্যাচটি জিততে পারলেই জিরোনাকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতো বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই হোঁচট খায় জাবি হার্নান্দেজের দল।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই জারাগোজা মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে যায় গ্ৰানাদা। প্রথমার্ধেই বার্সেলোনা চেষ্টা করেছে গোল পরিশোধ করার। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও গোল শোধ করতে পারেনি তারা। উল্টো ৩০ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল হজম করে বসে টার স্টেগানের দল। এবারেও গোলটি করেন জারাগোজা মার্তিনেজ।
তবে বার্সেলোনাকে প্রথমার্ধে ম্যাচে ফিরিয়েছেন ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল। প্রথমার্ধের যোগ করার সময়ে ইয়ামালের গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ২-১ ব্যবধানে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সেলোনা। তবে বার্সেলোনার সামনে চীনের প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্ৰানাদা গোলকিপার আন্দ্রে ফেরেইরা। পুরো ম্যাচে বার্সেলোনা ২২ টি শট নিয়েছিল যার মধ্যে ১০ ছিল লক্ষ্যে। দারুন কিছু সেভ করে গ্ৰানাদাকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন আন্দ্রে ফেরেইরা।
কিন্তু দারুণ পারফরম্যান্স করেও হতাশ হয়ে ফিরতে পারতো গ্ৰানাদা। ম্যাচের ৮৫ তম মিনিটে সার্জিও রবার্তোর গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। পরের মিনিটেই ক্যানসেলোর ক্রস থেকে দারুন ফিনিশিংয়ে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিল ফিলিক্স।
তবে তখনই রেফারির অফসাইডের বাঁশি বেজে ওঠে। ফিলিক্স অফসাইড না হলেও অফসাইডে থেকে বলে মাথা ছোয়ানোর চেষ্টা করেন ফেরান তোরেস। গোলটি বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। তারপর আক্রমণ চালালেও ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ করেছে দুই দল।
তবে ফিলিক্সের গোলটি বাতিলের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না জাবি। ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে জাবি বলেছেন, “আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি। আক্রমণাত্মক ফুটবলটাই মাঠে দেখিয়েছি। নিজেদের ভুলের কারণে আমরা ম্যাচে পিছিয়ে পড়েছিলাম। আমরা ম্যাচটি জিতেও ফিরতে পারতাম। রেফারি জোয়াও ফিলিক্সের গোলটি বাতিল করেছে। সেটি তিনি না করলেও পারতেন। কারণ তোরেস বলের জন্য লাফিয়ে ওঠার পরে বলের বা খেলোয়ারদের গতিপথ পরিবর্তন হয়নি।”
ম্যাচটি ড্র হওয়ায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৩ পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে গেল বার্সেলোনার। ৯ ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকা দ্বিতীয়তে রয়েছে বার্সা।