ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০ রানের লক্ষ খুব একটা বড় কিছু নয়। বিশ্বকাপে যেকোনো দল অনায়াসে ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ টপকে যাবে। আর ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের সামনে এই ২০০ রানের লক্ষ ডাল-ভাত।
তবে এই ২০০ রানের লক্ষে পৌঁছাতে গিয়ে ৪০ বছর আগেকার লজ্জাজনক ইতিহাস সামনে এনেছে ভারতীয় দল। ভারতের দুজন ওপেনার শুন্য রানে ফেরার রেকর্ড ছিল ১৯৮৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষান সেই রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছে। দুজনেই ফিরেছেন শূন্য রানে।
চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিংস। চিপক মাঠে সাধারণত স্পিনাররা সহায়তা পেয়ে থাকেন।
এজন্যই ধীর স্থির ভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শকে জাসপ্রিত বুমরা শূন্য রানে ফেরালেও বুঝেশুনে ব্যাটিং করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু ভারতীয় স্পিনারদের সামনে বেশিক্ষণ প্রতিরোধ করতে পারেননি তারা। ওয়ার্নার ফিরেছেন ৪১ ও স্মিথ ফিরেছেন ৪৬ রানে।
এরপর অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিল চলতে থাকে। শেষ দিকে মিচেল স্টার্কের ৩৫ রানের ফলেই ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় প্যাট কামিংসের দল। রানটা ভারতকে আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না তা জানা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। অসম্ভব ভালো কিছু করেই ম্যাচটা জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া দলও প্রয়াস করেছে ভারতকে ১৯৯ রানে আটকাতে।
২ রানের মধ্যে ভারতীয় তিনজন ব্যাটসম্যানকে ফেরান স্ট্রার্ক ও হিজেল হুড। তবে অস্ট্রেলিয়ার গল্পটা এখানেই সীমাবদ্ধ। এর পরের গল্পটা লেখেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল।
দুজনে মিলে যোগ করেন ১৬৫ রান। বিরাট কোহলি ১১৬ বলে ৮৫ রান করে ফিরলেও অপরাজিত ৯৭ রান করে মাঠ ছেড়েছেন রাহুল। তাদের দুজনের অসাধারণ ইনিংসে ৪১.২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের দেখা পেয়ে যায় ভারতীয় দল। ৯৭ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রাহুল।