স্বপ্নের মত একটি বিশ্বকাপ পার করছিল ভারতীয় দল। গ্রুপ পর্বের নয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেখানেও নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছিল দলটি। ভারতীয় দলের ক্ষুদ্রতম ত্রুটি বের করা সম্ভব ছিল না এই দশ ম্যাচে। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং সব জায়গায়তেই পারফেক্ট দল মনে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এই দশ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পার্থক্য গড়তে পারেনি কোন দল।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফাইনালে উঠেছে ভারত। ফাইনালে ওঠার পরেও ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবীদার ছিল রোহিত শর্মার দল। তবে সামনে ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হওয়া মোটেও সহজ কিছু নয়। শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করতে পারে অস্ট্রেলিয়া দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটাই তার প্রমান। পায়ের চোট নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচটাতেও জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে জয় পেয়ে অস্ট্রেলিয়া আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছিল।
যদিও সেমিফাইনালে খুব সহজ জয় পায়নি অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল প্যাট কামিংসের দল। তবুও ফাইনালের বড় স্বপ্নটাই ছিল অস্ট্রেলিয়া সামনে। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আগেই বলেছিলেন ভারতীয় দর্শকদের চুপ করতে চান তিনি। ম্যাচে সেই কাজটাই করে দেখালো অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ ষষ্ঠবারের মতো ঘরে তুলল ডেভিড ওয়ার্নার স্টিভেন স্মিথরা। এই ম্যাচ হারের কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার কাছে শুধু মনে হয়েছে ম্যাচটা তার ভাগ্যে ছিল না।
ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, “ম্যাচ হারের কোন অজুহাত দিতে চায় না আমি। ম্যাচটা আমাদের ভাগ্যে ছিল না। ২০/৩০ রান বেশি করলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। কোহলি এবং রাহুল বেশ ভালো পার্টনারশিপ করেছিল কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যেতে পারিনি। ২৪১ রানের লক্ষ্যে বোলিংয়ে আমরা যে কাজটা করতে পারতাম সেটাই করেছিলাম দ্রুত উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। তবে ট্রাবেস হেড ও মার্কাস লাবুশেনের জুটি আমাদের ম্যাচ থেকে বের করে দেয়। তাদের দুজনের প্রশংসা করতেই হয়।”