১৬ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে ৭-০ গোলে হারের পর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে লেবাননের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ২১ নভেম্বর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুই খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দুই হলুদ কার্ডের পর এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয় প্রতি খেলোয়াড়কে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ফরওয়ার্ড রাকিব হোসেন ও ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন কে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। মালদ্বীপের বিপক্ষের প্রথম লেগে ৭৩ মিনিটে গোল করে উদযাপন করার সময় জার্সি খুলে ফেলেন সাদউদ্দিন। যার ফলে হলুদ কার্ড দেখানো হয় তাকে। আবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হলুদ কার্ড দেখে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হলেন তিনি।
মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রাকিব। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ১৪ তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। যার ফলে লেবাননের বিরুদ্ধে খেলা হচ্ছে না তার। তারা দুজন না খেলায় হাভিয়ার কাবেরার নতুন করে দল নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ লেফট ব্যাকের অন্যতম ভরসাযোগ্য নাম ছিলেন সাদ উদ্দিন। তাছাড়াও তিনি ছিলেন একজন ভার্সাটাইল খেলোয়াড়। তিনি যে কোন পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। তাকে না পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। শারীরিক গঠনেও তিনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের তুলনায় যথেষ্ট এগিয়ে। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে রাকিব হোসানের না থাকা। বাংলাদেশের ফরওয়ার্ড লাইনে একাই দাপিয়ে বেড়ান তিনি। মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম লেগে সাদ উদ্দিনের গোল এবং দ্বিতীয় লেগে রাকিবের গোলেই বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পায়। যার ফলেই বোঝা যায় তারা বাংলাদেশ দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে লেবাননের বিপক্ষে তাদের ছাড়াই দল সাজাতে হবে বাংলাদেশ কোচকে।
তবে বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে সোহেল রানার ফিরে আসা। মালদ্বীপের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার পর লেবাননের বিপক্ষের ম্যাচে ফিরবেন তিনি।