ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। লিভারপুল ফুলহামের বিরুদ্ধে জয় পেলেও ম্যান সিটিকে রুখে দিয়েছে টটেনহাম। ম্যানসিটির ড্রয়ের ফলে তাদের দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছে লিভারপুল। এই দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৩ গোল দেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দর্শকেরা।
লিভারপুলের এনফিল্ডে শুরুতে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ক্লপের শিষ্যরা। তবে চার মিনিট পরে উইলসনের গোলে সমতায় ফেরে ফুলহাম। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে আবারো লিভারপুলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক-অ্যালিস্টার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের আগেই আবারও ফুলহামকে সমতায় ফেরায় টিটে। ২-২ গোলের সমতায় বিরতিতে যাই দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আক্রমণের ধার বারায় লিভারপুল।
আক্রমণের ওপর আক্রমণ চালালেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। উল্টো ৮০ তম মিনিটে আরো এক গোল হজম শূন্য হাতে ফেরার ভয় জেগেছিল লিভারপুলের। কিন্তু এরপরেই প্রবর্তনের গল্প লিখে মোহাম্মদ সালাহরা। ৮৭ তম মিনিটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান ওয়াটারু ইনডো। এর এক মিনিট পরেই আলেকজান্ডার আর্নল্ডের গোলে প্রাণ ফিরে পায় লিভারপুল। জয়ের উল্লাসে মাতে তারা। পূর্ন ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
লিভারপুলের থেকে সিটির গল্পটা কিছুটা ভিন্ন। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও এগিয়ে গিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই সনের গোলে এগিয়ে যাই টটেনহাম। এর ৩ মিনিট পরেই সনের আত্মঘাতী গোলেই সমতায় ফেরে সিটি। ৩১ মিনিটে সিটিকে লিড এনে দেন ফিল ফোডেন। প্রথমার্ধে এক গোলে লিড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে যাই ম্যান সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গুছিয়ে ফুটবল খেলে খেলার চেষ্টা করে টটেনহাম। যার ফলস্বরূপ ৬৯ মিনিটে লো-সেলসোর গোলে সমতায় ফিরে তারা। গোল হজমের পর আরো প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৮১ মিনিটে হলান্ডের পাস থেকে জ্যাক গ্যালারিসের গোলে ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় রদ্রি রুবেন ডিয়াজরা। ম্যাচের শেষ মিনিটে ক্লুভসকির হেডে পরাস্ত হন এদারসন। শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের সমতায় মাঠ ছাড়ে দুই দল।
১৪ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল। সমান ম্যাচ খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়তে ম্যানসিটি। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল।