শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার যখন প্রতিপক্ষ হিসেবে একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামে দর্শকেরা যে ফুটবলটা আশা করে গতরাতে সেই ফুটবলটাই উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা ও জিরোনা। পুরো ম্যাচে এক মিনিট সময়ের জন্য ম্যাচ থেকে দূরে চোখ রাখা যায়নি। বার্সেলোনার অলিম্পিকস লুইস ক্যাম্পস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। পুরো ম্যাচে ৪৬ টা শট হয়েছে।
যদিও ৪৬ শটের বেশির ভাগ এসেছে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের থেকে। বার্সেলোনার ৩১ শটের বিপরীতে জিরোনা নিয়েছিল ১৫ টি শট। ৩১ শটের ১১ টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল বার্সা আর ৭ টি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল জিরোনা। তবে গোল আদায়ের ক্ষেত্রে বার্সাকে টপকে গিয়েছে জিরোনা। জিরোনার চার গোলের বিপরীতে বার্সা করেছে দুই গোল।
৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে জিরানো। বার্সেলোনাকে প্রথম ধাক্কা দেন আর্তেম দোভিক। ম্যাচের ১২ তম মিনিটে জিরোনাকে এগিয়ে দেন তিনি। গোল হজমের পরে জ্ঞান ফিরে পায় বার্সেলোনা। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। সাত মিনিটের মধ্যেই গোল পরিশোধ করে দেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। গোল পরিশোধ করে শান্ত মেজাজে চলে গিয়েছিল বার্সেলোনা। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে জিরোনা। ৪০তম মিনিটে জিরোনাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন মিগুয়েল গিমেরেজ।
যার ফলে ২-১ গোলের লিভ নিয়ে বিরতিতে যাই জিরোনা। বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণাত্মক ফুটবল চলতে থাকে দুইদলের মধ্যে। তবে বার্সেলোনায় আক্রমণ করেছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কোনভাবেই গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। সহজ সহজ সুযোগগুলো হাতছাড়া করেছেন রাফিনিয়া গুনদোয়ানরা। উল্টো ৮০ তম মিনিটে আরো এক গোল হজম করে বসে বার্সেলোনা। গোলটি করেন ভেলেরি ফার্নান্দেজ। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় জিরোনা।
ম্যাচে ফেরার একটা শেষ সুযোগ পেয়েছিল জাভি হার্নান্দেজের দল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ব্যবধান কমিয়েছিলেন ইলকায় গুনদোয়ান। তবে গোলটিতে শুধুমাত্র ব্যবধান কমাতে পেরেছিল তারা। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আবারো জিরোনার হয়ে গোল করেন ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানি। এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে শীর্ষে জিরোনা। রিয়াল মাদ্রিদের থেকে দুই পয়েন্ট বেশি তাদের।
১৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও ২ ড্রয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে জিরোনা। অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচ ১০ জয় ৪ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে বার্সা।