রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে জয় পেলে লা লিগায় নিজেদের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করতে পারতো রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ ১১ ডিসেম্বর লা লিগায় জিরোনা ও বার্সেলোনার মধ্যকার ম্যাচে কাউকে পয়েন্ট খোয়াতে হতো। আর সেখানেই রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের প্রথম স্থান আরও পাকাপোক্ত করতে পারতো। তবে রিয়াল বেটিসের ঘরের মাঠে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রদ্রিগো বেলিংহামরা। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে বেশি ভয়ানক লেগেছে রিয়াল বেটিসকে।
বেনিটো ভিলামারিন স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলার চেষ্টা করে কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচে প্রথমার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি করেছিল মাদ্রিদ তবে সেখান থেকে গোলের দেখা পায়নি তারা। ম্যাচে ১৭ তম মিনিটে গোলের দেখা পেয়েছিল মাদ্রিদ। অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোলটি বাতিল হয়। প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও গোলের দেখা পায়নি কোন দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে কিছুটা গুছিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে সেই ফল পায় রিয়াল। বেলিংহামের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। গোল হজমের পরে আরো বেশি ভয়ানক হয়ে ওঠে বেটিস। একের পর এক আক্রমণ চালায় তারা। অবশেষে গোলটা আসে দুপাল্লার শটে। ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুন এক শটে লুনিনকে পরাস্ত করে রুইবাল।
ঘরের মাঠে গোলটি পরিশোধ করে শান্ত থাকেনি রিয়াল বেটিস। গোলটি পরিশোধ করার পর যেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্সের উপর ঝড় বয়ে যায় বেটিসের অ্যাটাকে। ম্যাচটা থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারতো তারা। ম্যাচের ৯০ তম মিনিটে ইসকোর হেডটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। না হলে ম্যাচটি থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারতো রিয়াল বেটিস।
এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ১৬ ম্যাচ থেকে ১২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয়তে জিরোনা। জিরোনার সমান ম্যাচ খেলে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়তে বার্সেলোনা। অন্যদিকে ১৬ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে রিয়াল বেটিস।