বিশ্বকাপের পর প্রথম বারের মত ঘরের মাঠে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। ভুলে যাওয়ার মত একটি বিশ্বকাপ পার করেছিল বাংলাদেশ। এরপরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের জন্য। পুরো শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে নিউজিল্যান্ড দল। অন্যদিকে ইনজুরির লম্বা লাইনে তরুণদের ওপর ভরসা রেখেই দল সাজিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারিয়ে সিরিজের শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ।
সিলেটে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকেই টেস্ট ম্যাচটিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল যদিও অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানের লিড পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ভালো ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দল। নাজমুল হোসেন শান্তর ১০৪ মুশফিকের ৬৭ ও মিরাজের ৫০ রানের ফলে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল।
যার ফলে নিউজিল্যান্ডের টার্গেট হয়ে দাঁড়ায় ৩৩২ রান। এই রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই চাপে থাকে নিউজিল্যান্ড। তাইজুলের ঘূর্ণিতে একে একে সাজ ঘরে ফিরতে থাকে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। নিউজিল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যানই লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ড্যারি মিচেল। শেষ দিকে টিম সাউদি ৩৪ রান করলেও সে সময় ম্যাচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আরো এক অবিস্মরণীয় জয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ দল। সাকিব, তামিম, লিটন, তাসকিন ও ইবাদতকে ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ের মহত্ব বাংলাদেশের কাছে আরো অনেক বেশি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের মতো সিলেটের জয়ও বাংলাদেশ কখনো ভুলবেনা।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি চতুর্থ ইনিংসেও ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।