যেকোনো টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই হট ফেভারিটের তালিকায় থাকে ভারত। ভারত যে কোন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা মানেই প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাওয়া। কিন্তু বারবারই নকআউটের কোন এক ম্যাচে নিজেদের খেয়ঁ হারিয়ে ফেলে ভারত। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পর বড় কোন ট্রফি ছুয়ে দেখা হয়নি ভারতের।
বারবারই নকআউট ম্যাচে পরাস্ত হতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে সেমিফাইনাল ম্যাচে সবচেয়ে বেশিবার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা। তবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে এসে সেই ভুলটা আর করেনি রোহিত শর্মার দল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত।
মহেন্দ্র সিং ধোনির রান আউটের পর কান্নায় ভেসে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধের অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় দল। ২০২৩ সালে এসে সেই আগের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে ৭০ রানে নিউজিল্যান্ডকে পরাস্ত করে উঠে গিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রতিদিনের মতো এই ম্যাচেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। পাওয়ারপ্লের মধ্যে রোহিত শর্মার ঝড়ো ইনিংস এরপর মিডেল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস। ভারতের বিশাল বড় সংগ্রহ। এই ম্যাচেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। রোহিত শর্মার ২৯ বলে ৪৭ রান। শুভমান গিলের ৬৬ বলে ৮০ রান। তবে ইনজুরিতে রিটায়ার্ড হার্ড হতে হয়েছে তাকে। এরপরে ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি দেখা পাওয়া। ইতিহাসের প্রথম কোন ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বিরাট কোহলি। শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন তিনি।
শেষ দিকে রাহুলের ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ৩৯৭ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। সেমিফাইনালের মতো উত্তেজনা পূর্বক ম্যাচে বিশাল সংগ্রহ তাড়া করাটা প্রায় অসম্ভব ছিল নিউজিল্যান্ডের জন্য। চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত আর তীর খুঁজে পায়নি কেইন উইলিয়ামসন দল। ড্যারি মিচেলের ১৩৪ এবং কেইন উইলিয়ামসনের ৬৯ রানে ৩২৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ভারতের পক্ষে একাই ৭ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনে আপকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন ভারতের অপেক্ষা ফাইনাল প্রতিপক্ষের জন্য। অন্যদিকে ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো কেইন উইলিয়ামসনের দল।