তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ম্যাচ শুরুর আগেই দুই ইনিংসের ৮ ওভারের খেলা কেটে নেওয়া হয়। ডানেডিনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বোলিংয়ের শুরুটা দারুন করে বাংলাদেশ দল। প্রথম ওভারে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র ও হ্যাংরি নিকোলসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
তবে এরপরের গল্পটা লেখেন নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান উইল ইয়াং ও টম লাথাম। দুজনে মিলে ১৭০ রান যোগ করেন নিউজিল্যান্ড বোর্ডে। লাথাম ৭৭ বলে ৯২ করলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন উইল ইয়াং। ১০৫ রান করে রান আউট হন তিনি। তবে ম্যাচটিতে বারবারই বৃষ্টি হানা দেয়। ৩০ ওভারে ২৩৯ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ২৪৫ রান।
লক্ষ্যটা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। অনেক দিন পর ওয়ানডে দলে ফেরা সৌম্য সরকার শুরুতেই শূন্য রানে ফিরে যান। এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন তারা। ১৫ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান শান্ত। এনামুল হক বিজয় কিছুটা ব্যাট চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। দলীয় ৮০ ও ব্যাক্তিগত ৪৩ রান করে আউট হন তিনি।
বিজয়ের আউটের পর ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। আফিফ হোসেন ও তাওহীদ হৃদয় বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখালেও জয়ের বন্দর ছিল অনেকটা দূরে। ২৭ বলে ৩৩ রান করে তাওহীদ হৃদয় সোধির বলে ক্যাচ তুলে সাজ ঘরে ফিরলে তার সঙ্গেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন ২৮ বলে ৩৮ রান করা আফিফ হোসেন। তাদের দুজনের আউটের পরে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজের ২১ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশ ১০ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছে ২০০। যার ফলে ৪৪ রানের হার বরণ করেছে শান্ত মুশফিকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়লো বাংলাদেশ দল।