বিশ্বকাপ ব্যর্থতা শেষে নিজেদের দল পুনরায় গঠনের চেষ্টায় পাকিস্তান দল। একে একে পরিবর্তন করা হয়েছে কোচিং স্টাফ এবং নির্বাচকদের। বাদ যায়নি খেলোয়ার ও অধিনায়ক। সবকিছুতেই নতুনায়ত্ব এনেছে পাকিস্তান দল। তবে সবকিছু পরিবর্তন করেও ২৪ বছরের ইতিহাস বদলাতে পারেনি পাকিস্তান দল। ১৯৯৬ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের স্বাদ গ্রহণ করেনি পাকিস্তান। সেই লক্ষ্য পূরনের চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়ার পার্থে প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান।
বাবর আজম অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নতুন অধিনায়ক শান মাসুদও ফলাফলে পরিবর্তন আনতে পারেননি। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৬০ রানে হেরেছে পাকিস্তান। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিংস। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসেই ফলাফল তৈরিতে অনেকটা এগিয়ে যায়। দেড় দিনের খেলায় ৪৮৭ রান তুলে নিজেদের দিকে ফলাফল তৈরি করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৪৮৭ রানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৬৪ রান করেন তিনি। মিচেল মার্শও ৯০ রান যোগ করেন।
পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে রান তোলার থেকে ক্রিজে সময় কাটানো টাকে প্রাধান্য দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সফলতা অর্জন করতে পারেনি তারা। পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম উল হকের ১৯৯ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের। তাছাড়া আসাদ শফিক, শান মাসুদের ছোট ছোট সংগ্রহে ২৭১ রানে আল আউট হয় পাকিস্তান। ২১৬ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্টিভেন স্মিথরা। ইংনিসের শুরুতে ৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে থেকে দলকে টেনে তোলেন উসমান খাজা এবং স্মিথ। দুজনে মিলে ৮৩ রান করেন। স্মিথ ৪৫ রান করে ফেরেন তবে খাজা করেন ৯০ রান। খাজাকে সঙ্গ দিয়ে মিচেল মার্শ করেন অপরাজিত ৬৩। ২৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংনিস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
পাকিস্তানের টার্গেট হয়ে দাঁড়ায় ৪৫০ রান। পাহাড় সমান লক্ষ তাড়া করতে নেমে ধসে পড়ে পাকিস্তান দল। ৮৯ রানে আলআউট হয় পাকিস্তান। যার ফলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাস এই ম্যাচেও বদলাতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে দুই দল।