বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব একটা বেশি সময় নেয়নি নেদারল্যান্ডস বোলারা।
৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে এরপরে সৈয়দ শাকিলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের আত্মবিশ্বাসী ইনিংসে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। দুজনে মিলে যোগ করেন ১২০ রান।
শাকিল করেন ৫২ বলে ৬৮ ও রিজওয়ান করেন ৭৫ বলে ৬৮। তাদের দুজনের ইনিংসের পরে ব্যর্থ হয়েছেন ইফতেখার আহমেদ। ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পরানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল পাকিস্তানের। তবে সেখান থেকে দলকে বের করে আনেন দুই অলরাউন্ডার সাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুজনেই খেলেন ৩০ ঊর্ধ্ব ইনিংস। তাদের দুজনের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৫০ ওভারে অলআউট হয় ২৮৬ রানে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৮৭ রানের লক্ষকে এখন এক খুব একটা বড় করে দেখা হয় না। তবে সামনে ছিল পাকিস্তানের বোলিং লাইন। যারা শেষ ১৪ ম্যাচে ২৭৫ উপরে টার্গেট দিলে একটি ম্যাচও হারেনি।
২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ড শুরুটা করেছিল বেশ ধীর স্থির ভাবে। ৫০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর বিক্রমজিৎ সিং এবং ব্যাস ডি লিডির দারুন ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগোচ্ছিল নেদারল্যান্ডস। তবে ব্যক্তিগত ৫২ এবং দলীয় ১২০ রানে বিক্রমজিৎ সিংকে ফেরান সাদাব খান। এরপরে নেদারল্যান্ডসের কোন ব্যাটসম্যান আর ক্রিজে সময় কাটাতে পারেননি। একদিকে ব্যাস ডি লিডি দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্যদিকে চলছিল ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিল।
শেষ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৬৭ রান করা ব্যাস ডি লিডিকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। নেদারল্যান্ড অল আউট হয়েছে ২০৫ রানে। যার ফলে ৮১ রানের বড় জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল। সৈয়দ শাকিলের দারুণ ব্যাটিং পারফরমেন্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।