বিশ্বকাপে একতরফা ম্যাচ দেখে দর্শকদের মধ্যে ঝিম ধরেছিল। তবে আজ সেই ঝিমোনা দূর করেছে পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। বিশ্বকাপ ম্যাচকে তারা রাঙিয়েছে বিশ্বকাপ ম্যাচের মতোই। ম্যাচের শুরু থেকেই পেন্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচের ভাগ্য। কখনো কারোর পাল্লা ভারী কখনো বা অন্য কারোর পাল্লা ভারী।
চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। ৩৮ রানে দুই ওপেনারকে সাজ ঘরে ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলার মার্কো ইয়েনসান। এরপর পাকিস্তানের দুই ভরসাযোগ্য ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। দলীয় ৮৬ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ইফতেখার আহমেদও বাবর আজমকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারেনি। ২০ করে ফিরে যান তিনি। এরপরে নিজের ৫০ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন বাবর। ১৪১ রান করেই পাকিস্তানের অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপরে ৮৬ রানের বড় জুটি করেন সৈয়দ শাকিল ও সাদাব খান। সাদাব ৪৩ রান করলেও ফিফটি করেছেন শাকিল। সাদাবের আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে গেছেন শাকিলও। যার ফলে ৩.২ ওভার বল বাকি থাকতেই ২৭০ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান দল।
চেন্নাইয়ের উইকেটে রানটা যথেষ্ট পরিমাণ ছিল। তবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট হারালেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে তারা। ইডেন মার্করাম ছাড়া ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউ। ব্যক্তিগত ৯১ এবং দলীয় ২৫০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার সপ্তম উইকেট হিসেবে মার্কারাম ফিরে গেলে কোথাও শঙ্কা তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার মনে।
সেই শঙ্কা সত্যি করতে ২৫০ রানে আরো এক উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৫৩ বলে ২০ রান হাতে ছিল দুই উইকেট। একের পর এক বল ডিফেন্স করতে থাকেন লুঙ্গি ইংগিডি ও কেশব মহারাজ। দুজনে মিলে দশ রান যোগ করেন। এরপর লুঙ্গি ইংগিডিকে ফেরান হারিস রউফ। ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউর আবেদন উঠে শামসির বিরুদ্ধে। আম্পায়ার নট আউট দিলেও রিভিউ নেয় পাকিস্তান দল। বল স্ট্যাম্পে লাগলেও আম্পায়ারের ডিসিশনের জন্য বেঁচে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৪ ওভারে ৭ রান। ৪৭ তম ওভারের খেলায় দুই রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরের ওভারে নাওয়াজের প্রথম বলেই সিঙ্গেল নেন শামসি। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে চার মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বস্তির জয় দেন কেশব মহারাজ। এই জয় সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তাটা সুগম করল দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে ম্যাচটি হেরে নিজেদের জন্য রাস্তাটা কঠিন করে ফেলল পাকিস্তান।