দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা প্রায় বন্ধই করে ফেলেছে পাকিস্তান। ৬ ম্যাচ থেকে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকা ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে ওঠা লড়াইয়ে বাকি দলগুলোর উপর নজর রাখতে হবে পাকিস্তানের।
এমন অবস্থায় সাবেক পাকিস্তানি খেলোয়ারদের তোপের মুখে বাবর আজমরা। সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি দলের উপরে। তবে পাকিস্তানের বাজে সময়ে বোর্ডকে পাশে পাচ্ছে না পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা। বরং পাকিস্তানি খেলোয়ারদের ওপর দোষ চাপাতে মরিয়া (পিসিবি)।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে’ একটি সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাকিস্তানি খেলোয়াড় বোর্ডকে পাশে না পাওয়ার কথা জানিয়েছে। এর কারনে খেলোয়ারদের বিপদে ফেলছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেদের জায়গা বাঁচাতেই এমন কাজ করছেন বলে দাবি করেছেন সেই ক্রিকেটার। ‘পাকিস্তান ক্রিকেট’ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেই ক্রিকেটার বলেছেন, “দল খারাপ করলে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যেমন আচরণ করছে তা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা বোর্ডের কাছ থেকে আরও বেশি সাহায্য আশা করেছিলাম।”
দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বাবর আজম এবং ইমজামাম উল হকের উপর প্রশ্ন তুলেছে পিসিবি। এই ব্যাপারটি কেউ হাস্যকর মনে করেছেন সে ক্রিকেটার। তার মতে বাবরের ওপর দোষ চাপাতেই এমন সিদ্ধান্ত পিসিবির। তিনি বলেছেন, “পিসিবির প্রধান মিসবাহ উল হক নিজেকে সব বিষয় থেকে আড়াল করে নিয়েছেন। যেন মনে হচ্ছে সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে সব দোষ আমাদের ওপর চাপানো হবে। মনে হচ্ছে আমরা বোর্ডের সঙ্গে লড়াই করে এখানে খেলতে এসেছি। দল ভালো না করলে সকল দায়ভার আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হবে।”
তিনি আরো যোগ করেছেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে মারামারি চলছে। এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বৈঠকে সকল খেলোয়াড় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়। মতের অমিল হতে পারে। কিন্তু কখনো মারামারি হয়নি।”