আফ্রিকান অঞ্চলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে উগান্ডার বিপক্ষে হেরে বিপাকে পড়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দল জিম্বাবুয়ে। আগামী বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল বাছাইপর্বে যাওয়া নিয়েই যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে জিম্বাবুয়ের। আফ্রিকার অঞ্চলে বাছাই পর্বের তিন ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে সিকান্দার রাজা দল।
তিন ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নামিবিয়া ও দ্বিতীয় স্থানে কেনিয়া। দুজনেই তিন ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট পেয়েছে। তৃতীয়তে থাকা উগান্ডা তিন ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। এখান থেকে টপ দুই দল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। জিম্বাবুয়ে সর্বশেষে তাদের তিন ম্যাচে জয় পেলেও তাদের জন্য বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল পর্বে যাওয়ার রাস্তাটা কঠিন হয়ে দাড়াবে।
আফ্রিকান অঞ্চলে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। সেই হারকে লজ্জাজনক আখ্যায়িত করেছিল জিম্বাবুয়ের হেড কোচ হটন। পরের ম্যাচে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল সিকান্দার রাজার দল। তানজানিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। তবে উগান্ডার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরে বিপদে পড়েছে সিকান্দার রাজা শন উইলিয়ামরা।
নামিবিয়ার ইউনাইটেড ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ০ রানেই ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার মারুমনি। সন উইলিয়াম ও অন্য ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া পার্টনারশিপ করার চেষ্টা করলেও দ্রুতই ফিরে যান তারা। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। সিকান্দার রাজার ৩৯ বলে ৪৮ রানের ফলে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে বোলিংটাও ভালো শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল উগান্ডা। সেখান থেকে বড় পার্টনারশিপ করার চেষ্টা করেন রোজার মুছাকা ও আলপেস রামজানে। ২৬ বলে ৪০ রান করে উইলিয়ামের শিকার হন রামজানে। শেষ দিকে রহমত আলী সাহের ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসের পর জয়ের কাছাকাছি চলে যায় উগান্ডা। এরপর বাকি কাজটুকু করেন দ্বীনেশ নারকানি। যার ফলে ৫ উইকেটের জয় পায় উগান্ডা। এই জয়ে উগান্ডা স্বপ্ন দেখতেই পারে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করার। অন্যদিকে বাছাই পর্বের মূল পর্বে খেলার জন্য বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।