টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ঘরের মাঠে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচটিতে ছিল টানটান উত্তেজনা। ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের একে অন্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে অনেকবার। পুরো ম্যাচে ৩৩ ফাউলের শিকার হয়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। রেফারি চাইলেই দুই তিনটি লাল কার্ড দেখাতে পারতেন খেলোয়াড়দের তবে বেশ শান্ত হাতে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। ম্যাচে সাত জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে যার মধ্যে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ছিল চার জন এবং উরুগুয়ের ছিল তিনজন।
ল্যাতিন আমেরিকা অঞ্চলে শারীরিক ফুটবলটা বেশ জনপ্রিয়। শারীরিক ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তাপ আরো বাড়িয়ে তোলে। পুরো ম্যাচে ৩৩ ফাউলের ২২ টি এসেছে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের থেকে। মাঠে তাদের আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশি সংঘাত করতে দেখা গিয়েছে। ম্যাচের ১৯ তম মিনিটে উরুগুয়ের ডিফেন্ডার আরোহর সঙ্গে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এই ঘটনার সূত্র পাতেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রদ্রিগো দি পল ও উগারতে। এই ঘটনার দুই মিনিট পরেই ডিবক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেন উগারতে। ফাউলটি মোটেও পছন্দ হয়নি দি পলের। আবারো মাঠের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তারা। সে সময়ই দি পলের উদ্দেশ্যে এক অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার উগারতে।
উগারতের অঙ্গভঙ্গিটি পছন্দ হয়নি আট বারের ব্যালন ডি অর জয়ী লিওনেল মেসির। এজন্যই উগারতকে শালীন আচরণ শিখে আসতে বলেছেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার মেসি বলেছেন, “ম্যাচে আক্রমণাত্মক হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি আপনাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। ওই বাজে অঙ্গভঙ্গি নিয়ে আমি কি ভাবছি তা এখন বলতে চাচ্ছি না। উরুগুয়ের তরুণ খেলোয়াড়দের তাদের বড়দের থেকে শিখতে হবে কিভাবে প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা করতে হয়।”