মাঝেমধ্যেই বাবর আজমকে নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। সেটি মূলত বাবর আজমের ব্যাটিং নিয়ে নয় বরং বাজে অধিনায়কত্বের জন্যই সমালোচনা করে থাকেন তারা।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাবর আজমের বাজে অধিনায়কত্বের ফলে ম্যাচটি হেরেছে পাকিস্তান এমন মন্তব্য করেছেন অনেকে। অধিনায়ক হিসাবে পাকিস্তানি অধিনায়ক খুব বেশি সাহসী নয়। শরীরী ভাষায়ও পাকিস্তানি অধিনায়ক বেশ শান্ত। এজন্যই বাবর আজমকে বিশ্বকাপে আক্রমণাত্মক এবং সাহসী অধিনায়কের ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রীদি।
শহীদ আফ্রীদি তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বাবরকে মাঠের ভেতরে ইতিবাচক থাকতে হবে, শারীরিক ভাষায় আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। বিশ্বকাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। প্রায় পুরো দলই ভারতে এই প্রথম খেলতে গেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে চাপ থাকে না, কারণ দর্শক নেই। কিন্তু মূল ম্যাচে দর্শক থাকবে। চাপও থাকবে। আমরা সাবেক ক্রিকেটাররা, পাকিস্তান দলের সঙ্গে আছি। সবার এত এত সমর্থন থাকলে অধিনায়কের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাঁকে সাহসী হতে হয়।”
বাবর আজমকে সাহসী করতে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টেরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, “বাবরকে ম্যাচের চাপ সামলাতে হবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পিসিবির সিনিয়র কর্মকর্তাদের অধিনায়কের সঙ্গে বসে তাকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে হবে। যাতে পুরো টুর্নামেন্ট উজ্জীবিত থাকে অধিনায়ক। শরীরী ভাষায় যেন সেটি প্রকাশ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাবরকে অবশ্যই সিনিয়রদের আমলে নিতে হবে। বারকে অবশ্যই খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসে ডিনার করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, একসঙ্গে নামাজ পড়া—এসবে সময় দিতে হবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে একতার ছাপ থাকতে হবে।”