পাকিস্তানের শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯৬ রান হাতে ছিল ৫ উইকেট। যখন আপনি ৩৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তাড়া করছেন তখন শেষ ১০ ওভারে ৯৫ রান খুব একটা কঠিন কিছু নয়।
৩৬৮ রান তাড়া করতে পারলে একই বিশ্বকাপ দুইটি রেকর্ড ভেঙে ফেলতো পাকিস্তান। এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৪৫ রানের লক্ষ তাড়া করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ লক্ষ তাড়া করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও এই রেকর্ড ভাঙতে পারতো তারা। তবে ৯৫ রানের লক্ষ্যটাই পাহাড় সমান হয়ে যায় রিজওয়ানের উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান দল হেরেছে ৬২ রানে।
চিন্নাস্বামি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালুরুর বাউন্ডারি গুলো আকারে বেশ ছোট। বোলাররাও তেমন একটা সাহায্য পায় না এই মাঠে। যার ফলে সবসময়ই বড় স্কোর দেখা যায় এই মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা বিষয়টি বেশ ভালোভাবে জেনেই মাঠে নেমেছিল।
পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনার মিশেল মার্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তারা দুজন মিলে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর টর্নেডো ঝড় চালান। একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনারকে আরো সহযোগিতা করেন পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তারা। যার ফলে দুই ওপেনার মিলে যোগ করেন ২৫৯ রান। ১০৮ বলে ১২১ রান করে মার্চ ফিরলেও তাণ্ডব চালিয়েছেন ওয়ার্নার।
তবে ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যান। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ১২৪ বলে ১৬৩ রান করে হারিস রউফের শিকার হয়েছেন। এরপরে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি আরো কমতে থাকে। ৪০০ রানের কাছাকাছি স্বপ্ন দেখা অস্ট্রেলিয়া দল, থেমে যায় ৩৬৭ রানে।
৩৬৮ রানের লক্ষ তাড়া করতে হলে প্রায় অসাধ্যকেই সাধন করতে হতো পাকিস্তান দলকে। তবে তারা খুব সহজে হাল ছেড়ে দেয়নি। পাকিস্তানি দুই ওপেনার আসাদ শফিক ও ইমাম উল হকও বেশ ভালো শুরু করেছিলেন। ২১ ওভারে পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৩৪ রানে। এরপর পাকিস্তান দুই ওপেনারকে ফেরান মার্কাস স্টোয়নেস। এরপর ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট সংগ্রহতে এগোতে থাকে পাকিস্তান দল। সকলেই কিছু কিছু করে রান যোগ করেছেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। যার ফলে ৬২ রানের বেশ বড় হার দেখতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ একজন বড় ইনিংস খেললে ম্যাচটাও ছিনিয়ে নিতে পারতো বাবর আজমে দল।