পাকিস্তান দলের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হওয়ার পরই বড় গুঞ্জন ছিল কোচিং প্যানেলের সবাইকে সরিয়ে ফেলতে চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়ক পরিবর্তনের কথা উঠেছিল সেই গুঞ্জনে। তবে ব্যাপারটি যে মোটেও গুজব নয় তার প্রমাণ পাওয়া যায় বাবর আজমের পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে।
বাবরের বদলে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় শাহিন শাহ আফ্রীদিকে। টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় সান মাসুদকে। ওয়ানডে অধিনায়কের নাম এখনো ঘোষণা করেনি তারা। ধীরে ধীরে পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলেও বড় পরিবর্তন আনছে পিসিবি। বিশ্বকাপ শেষেই পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলকে সরিয়ে দেয় পিসিবি।
পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারকেও সরিয়ে দেয় পিসিবি। তার জায়গায় পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ হাফিজকে। এবার পরিচালকের সঙ্গে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রফেসর খ্যাত মোহাম্মদ হাফিজকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়েছিল প্রধান কোচ এবং পরিচালকের দায়িত্ব একজনের হাতে তুলে দিতে। তাই এবার পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্নকে সরিয়ে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ককে।
আপাতত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে হাফিজকে। দলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী দায়িত্ব দেয়া হবে ৪৩ বছর বয়সী হাফিজকে। এর আগে কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই তার। বড় সুযোগ পেয়ে সুযোগটি অবশ্যই লুফে নিতে চাইবেন মোহাম্মদ হাফিজ।