বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের জোর দাবি উঠেছিল। সেই দাবি সত্য করে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবর। তার জায়গায় নতুন টেস্ট অধিনায়কত্ব দেয়া হলো শান মাসুদকে। টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়কত্ব দেয়া হলো শাহিন শাহ আফ্রীদিকে। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়কত্ব করার পর কারো মনে কোন প্রশ্ন ছিল না। টি-টোয়েন্টিকে সাধারণত বলা হয়ে থাকে তরুণদের ক্রিকেট। সেই কাজটাই করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়েছে তারা। এছাড়াও পিএসএল জয় করে নিজের অধিনায়কত্বের প্রমাণ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন আফ্রিদি।
তবে বিতর্ক রয়েছে শান মাসুদকে টেস্টের অধিনায়কত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে। শান মাসুদের বর্তমান বয়স ৩৪ বছর। এই বয়সে সাধারণত নিয়মিত অধিনায়করা অধিনায়কত্ব ছেড়ে নতুনদের কাছে অধিনায়কত্ব তুলে দেন। তবে এই বয়সেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শান মাসুদ। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের রেকর্ডও খুব ভালো নয়। ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি দলে তেমন সুযোগ মেলে না। টেস্ট ক্রিকেটেও চোখে পড়ার মতো পারফরম্যান্স নেই। ৩০ টেস্টে ২৮.৫ গড়ে করেছেন ১৫৯৭ রান। তবে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক শান মাসুদের বিশ্বাস নতুন ব্যান্ডের ক্রিকেট খেলে পরিচিতি পাবে পাকিস্তান।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন মাসুদ। সেখানে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব আমাকে তুলে দেওয়ার জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। লাল বলের ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। টেস্ট ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা নতুন এক ব্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চাই সেটা আমাদের নতুন পরিচয় হবে।”
সংবাদমাধ্যমে সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম সম্পর্কে কথা বলেছেন বর্তমান অধিনায়ক শান মাসুদ। তিনি বলেছেন, “বাবর পাকিস্তান দলকে গত চার বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি অধিনায়ক না থাকলেও তিনি দলের একজন নেতা। পাকিস্তান দলকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে তার ভূমিকা মুখ্য। আমার মনে হয় তিনি এই দলকে ভবিষ্যতে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
শান মাসুদকে ২০২৩/২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে তার অধিনায়কত্বের যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সাম্প্রতিককালে টেস্ট ক্রিকেটেও খুব ভালো করতে পারছে না পাকিস্তান। ভারত ছাড়া অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারাতে পারেনি আর কোন এশিয়ার দল। শান মাসুদকে সেই কাজটি করতে গেলে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে।